শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নতুন কুঁড়ি-২০২৫ ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিযোগীদের অডিশন। ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ৫ দিন একটানা চলে এ অডিশন। ঢাকা থেকে একদল বিচারক গিয়ে প্রতিযোগীদের অডিশন নেন।
১১টি বিষয়ে ক ও খ শাখায় ৫৩৫ জন প্রতিযোগী অডিশনে অংশ নিয়েছিলো। নতুন কুঁড়ি-২০২৫ ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের আহ্বায়ক ছিলেন বিটিভির নিয়ন্ত্রক ডিজাইন শিল্পী মোহাম্মদ হেমায়েত হোসেন জুয়েল। প্রযোজক হাসান রিয়াদ সদস্য সচিব ও প্রযোজক ইয়াসমীন আকতার সদস্য হিসেবে প্রতিযোগিতার দায়িত্ব পালন করেন।

মীর আহসানুল আলম, শায়লা আহমেদ, শিরীন আলম, শাহনাজ শারমীন রিনভী, হুমায়রা বশির, মাহমুদ হাসান, শাহিনুর বেগম, বদরুন্নেসা ডালিয়া, আশরাফ বাবু, ওয়াসীম কবীর পলাশ, আমিরুল ইসলাম মনি, আব্দুর রশিদ স্বপন ও মৈত্রী সরকার অডিশনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রতিযোগীদের ৫ দিনের অডিশন গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। আবারো বিটিভির জনপ্রিয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় এবং সন্তানরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারায় বিটিভির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
বিচারক মীর আহসান বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা শিশু-কিশোরদের প্রাণের প্রতিযোগিতা। নতুন কুঁড়ি-২০২৫ প্রকৃত শিল্পী তৈরীতে বিশেষ অবদান রাখবে। ময়মনসিংহে এসে আমি মুগ্ধ। প্রতিযোগীরা এতো ভালো আবৃত্তি, অভিনয়, নাচ, গান, গল্পবলা ও কৌতুক করেছে- যা ভাবাই যায়না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই শিশু-কিশোরদের সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারলে পুরস্কার ময়মনসিংহের ঝুলি ভরে যাবে।’
গানের বিচারক শাহনাজ শারমীন রিনভী বলেন, ‘ময়মনসিংহ গানের পাখির জায়গা। কাকে রেখে কাকে কত নম্বর দেবো এ এক পরীক্ষা ছিলো আমাদের জন্য। শিশু-কিশোরদের নজরুল সঙ্গীত, আধুনিক গান ও হামদ-নাত শুনে মনে হচ্ছিলো প্রায় সব শিশু-কিশোরই চমৎকার গান গেয়েছে।’
বিচারক হুমায়রা বশির বলেন, ‘প্রতিযোগীদের গান শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমার চোখ দিয়ে পানি এসেছিলো। শিশু-কিশোরদের এতো সুন্দর গায়কী ভাবাই যায় না।’
বিচারক আশরাফ বাবু বলেন, ‘ময়মনসিংহের শিশু-কিশোররা নতুন কুঁড়ি-২০২৫ পুরস্কার ছিনিয়ে আনবেই।’
নাচের বিচারক মৈত্রী সরকার বলেন, ‘প্রতিযোগিরা অনেক সুন্দর নাচ করেছে। তাদের পরিবেশনায় আমরা মুগ্ধ হয়েছি।’
টিম লিডার হেমায়েত হোসেন জুয়েল বলেন, ‘খুব সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের অডিশন। আমরা সুষ্ঠুভাবে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করেছি। শিল্পকলার কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে কালচারাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন অনেক সহযোগিতা করেছেন। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সব বিষয়ে সার্বক্ষণিক তত্বাবধান করেন। আমরা সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
সদস্য সচিব হাসান রিয়াদ জানান, অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। ওরা অনেক সুন্দর আবৃত্তি, গান, নাচ, অভিনয়, গল্পবলা ও কৌতুক করেছে। সত্যিই আমি মুগ্ধ।
প্রযোজক ইয়াসমীন আকতার বলেন, ‘আমি বহু অভিভাবক ও শিশু-কিশোরের সঙ্গে কথা বলেছি। অংশগ্রহণ করতে পেরে তারা খুব খুশি।’
কয়েকজন অভিভাবক জানান, সন্তানদের শেখানোর বিষয়ে আমরা ময়মনসিংহে তেমন সহযোগিতা পাইনা। শিল্পকলায় যোগ্য প্রশিক্ষক নেই। বিশেষ করে অভিনয় আবৃত্তি ও কৌতুকের। আমরা চাই, ময়মনসিংহ শিল্পকলা একাডেমি কর্মশালার আয়োজন করুক।


















