ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে টপটেন গেইনার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ দুর্বলমানের ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানি। সপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটিই রয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে লোকসান গুনছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হচ্ছে- শ্যামপুর সুগার মিলস, জেনারেশন নেক্সট, বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আমরা টেকনোলজি লিমিটেড।
শ্যামপুর সুগার
সপ্তাহের ব্যবধানে শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর বেড়েছে ২২.৮৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৫০ টাকা ৭০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৮৫ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটি গত দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
জেনারেশন নেক্সট
সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ৩ টাকা দাঁড়িয়েছে।
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০২৪ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি। বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বে-লিজিং
আর্থিক খাতের কোম্পানি বে-লিজিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ২০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৪ টাকা ; যা গত সপ্তাহে ৪ টাকা ৮০ পয়সা দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে কোম্পানিটি ৫০৮ কোটি টাকা পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়না।
আমরা টেকনোলজি
সপ্তাহের ব্যবধানে আমরা টেকনোরজির শেয়ার দর বেড়েছে ১৯.৮৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৫ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
আমরা টেকনোলজি ২০২৪ সালে ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে কোম্পানিটি লভ্যাংশ বিতরণ না করায় জেড ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, জেড ক্যাটাগরির শেয়ার ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক অবস্থা দুর্বল, নিয়মিত লভ্যাংশ দেওয়ার রেকর্ড নেই। তাই সাময়িক দরবৃদ্ধি আনন্দ দিলেও দীর্ঘমেয়াদে বড় ক্ষতির ঝুঁকি বহন করে।


















