করোনাকালে বিনিয়োগের আদর্শ হিসেবে সোনাকে বেছে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রথমবারের মতো ২ হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেছে প্রতি আউন্স সোনার দাম।
গত কয়েক দিন ১ হাজার ৯৫০ থেকে ১ হাজার ৯৭৫ ডলারের মধ্যেই ওঠানামা করছিল মূল্যবান ধাতুটির দাম। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ২ হাজার ২১ ডলারে। অন্যদিকে ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল প্রতি আউন্স সোনা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫১ ডলারে। করোনার প্রকোপের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ও পেইচিংয়ের ব্যবসাসংক্রান্ত উদ্বেগও সোনার দাম বাড়তে সহায়তা করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছরের শুরু থেকেই সোনার সঙ্গে বাড়ছে রুপাসহ অন্য মূল্যবান ধাতুর দাম। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। এতে অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সংকট তৈরি হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকেই সোনায় বিনিয়োগে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বছরের প্রথম ছয় মাসে ধাতুটির দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মাসের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

বিবিসি অনলাইন বলছে, অর্থনীতিতে করোনার ক্ষতিপূরণে বিশে^র বিভিন্ন দেশ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্যাংক অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের সরকার এরই মধ্যে প্রায় ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং করোনার প্রভাবে সোনার দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট মার্গারেট ইয়াং বিবিসি অনলাইনকে বলেছেন, আসছে সপ্তাহগুলোয় সোনার বারের (বুলিয়ান) দাম আরও বাড়বে। তার ভাষ্যে, মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী থাকবে সোনার আন্তর্জাতিক বাজার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এক্সএমের বিশেষজ্ঞ পিটার ম্যাকগুইর জানিয়েছেন, আগামী ক্রিসমাসের মধ্যেই প্রতি আউন্স সোনার দাম পৌঁছবে ২ হাজার ২০০ ডলারে। শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে রুপা, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়ামও। দেশ রূপান্তর