ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮:১৮ অপরাহ্ন

আগামী বছরের শুরুতেই তৈরী হতে পারে ‘ওমিক্রন’ ভ্যাকসিন

বর্তমানে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। ‘ওমিক্রন’-এর সংক্রমণের হদিশ প্রথম পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তারপর কয়েক দিনের মধ্যেই বৎসোয়ানা হংকং, ইসরাইল, বেলজিয়াম ও বৃটেনে মিলেছে করোনা ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতির হদিশ।

ইতিমধ্যেই কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবধানবাণী। এই আতঙ্কের মাঝেই আশার বাণী শোনাল মডার্না। Moderna Inc. জানাচ্ছে করোন ভাইরাসের ওমিক্রন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োজন হলে ২০২২ সালের প্রথম দিকে তারা প্রস্তুত করে দিতে পারে।

সপ্তাহান্তে কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার পল বার্টন বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য মডার্না গত বৃহস্পতিবার থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-তে শত শত কর্মীকে একত্রিত করেছে। Piper Sandler বিশ্লেষক এডওয়ার্ড এ. টেনথফের মতে, Moderna-এর mRNA প্রযুক্তি আদর্শভাবে ভ্যাকসিনকে করোনার নতুন রূপের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উপযুক্ত।

টেনথফ ক্লায়েন্টদের উদ্দেশ্যে একটি নোটে লিখেছেন- ‘মডার্না নতুন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য এখন আরও ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং এখন প্রতি মাসে কয়েকশ মিলিয়ন ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে কোম্পানির।

SARS-CoV-2 এখনই চলে যাচ্ছে না বরং বছরের পর বছর এর পেছনে গবেষণা জারি থাকবে।” Jefferies বিশ্লেষক মাইকেল ই-ও Moderna বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাবাদী বক্তব্য রেখে বলেছেন যে, ”বায়োটেক ২০২২ এ ভ্যাকসিনের একটি নতুন সংস্করণ নিয়ে যখন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর কথা ভাববে, তার আগেই Moderna নতুন প্রার্থীদের নিয়ে ৬০-৯০ দিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল এগিয়ে যেতে পারবে।” পিছিয়ে নেই BioNTech-ও। তারাও omicron ভ্যারিয়েন্টকে মোকাবেলা করার জন্য ১০০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিনের একটি নতুন সংস্করণ প্রস্তুত করার আশা করছে।

বায়োটেক এবং এর কোভিড ভ্যাকসিন অংশীদার Pfizer Inc. কয়েক মাস আগে নিজেদের পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন এবং থেরাপি তৈরি করছে এমন অন্যান্য কোম্পানি, যার মধ্যে Novavax Inc. এবং Adagio Therapeutics Inc. উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই তারাও। নোভাভ্যাক্স-এর শেয়ারের চাহিদা ৫.১% এর মতো বেড়েছে কারণ বি রিলির বিশ্লেষকরা এর বুস্টার শটগুলির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আদাজিও-র শেয়ারের দাম-ও দ্বিগুনের থেকে বেশি যাচ্ছে কারণ এন্টিবডি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে এই কোম্পানি যে পরিকল্পনা শেয়ার করেছে তা মনে ধরেছে অনেকের।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ