ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৫:০০ অপরাহ্ন

করোনা সংক্রমণে সহায়ক তামাকদ্রব্যের দাম বাড়ানোর দাবি

বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল ও সাদাপাতা সেবন ফুসফুস ও দেহের অঙ্গপ্রতঙ্গে ক্ষতি করে এবং করোনা সংক্রমনের ঝুকি বাড়ায়। করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি রোধে এই সকল তামাকজাত দ্রব্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
এজন্য তামাকদ্রব্যের ওপর কর বাড়াতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী।
সোমবার, উবিনীগ ও তামাক বিরোধী নারী জোট-তাবিনাজের আয়োজনে ‘তামাক দ্রব্যের ওপর কর বাড়ান, করোনা সংকটকালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা করুন’ শীর্ষক আলোচনাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই নতুন ভাইরাস মোকাবেলায় সমস্যা তৈরি করেছে তামাক সেবন, বিশেষ করে ধূমপান যা কভিড-১৯ এর আক্রান্ত হয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হবার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ধূমপান এবং জর্দা, গুল ও সাদাপাতা ফুসফুসে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়। তাই করোনা প্রতিরোধে ধূমপান ও তামাক ব্যবহার
বন্ধ করতে হবে। যারা তামাকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন, এখনি সময় এ পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া।
মাসুদা এম রশীদ বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি রোধ হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যা কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবেলায় সহায়ক হবে। বাংলাদেশে করোনার প্রভাবে ভয়াবহ জনস্বাস্থ্য সংকট অপেক্ষা করছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে এ অবস্থায় সরকার ও নীতি নির্ধারকদের তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। 
তিনি বলেন, বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল ও সাদাপাতার সহজ লভ্যতা কমানো, কর বৃদ্ধি এবং সকল তামাক কোম্পানীকে কর জালের আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন।
উবিনীগ ও তাবিনাজের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংসদ সদস্য অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবীদার।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন