রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বিকাশে

15

পৃথিবীব্যাপী করোনা বিস্তার রোধে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা পড়লেও অনলাইন অথবা ওয়ালেটভিত্তিক মানি ট্রান্সফার সেবা থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। এপ্রিল মাসে এই পদ্ধতিতে দেশের ব্যাংকিং চ্যালেন হয়ে বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ১০৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অথচ মার্চ মাসে বিকাশে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি টাকা।

বিশেষ প্রয়োজনের এই সময়টিতে প্রবাসী এবং দেশে অবস্থানকারী প্রিয়জন উভয়ই ঘরে অবস্থান করায় অর্থ প্রেরণকারী বাইরে না গিয়ে তার নিজের মোবাইল থেকেই অনলাইন অথবা ওয়ালেটভিত্তিক মানি ট্রান্সফার সেবা ব্যবহার করে নির্ধারিত ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে দেশে তার স্বজনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সেবার উপর ভরসা রাখছেন।

প্রিয়জনের বা পরিবারের প্রয়োজনে ছোট অঙ্কের রেমিট্যান্সগুলো পাঠাতে অনলাইন-টু-ওয়ালেট সেবা বা বিকাশের মতো সেবাগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। এপ্রিল মাসে বিকাশে পাঠানো রেমিট্যান্সের সংখ্যা ছিল ৯২ হাজারের কিছু বেশি। গড়ে প্রত্যেক প্রবাসীর রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল সাড়ে এগারো হাজার টাকার মতো। বর্তমানে বিকাশ দেশের ৬টি বেসরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের ৯৩টি দেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রবাসীদের প্রিয়জনরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে আসা রেমিট্যান্সের অর্থ সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে প্রয়োজন অনুসারে ক্যাশআউট করা, সেন্ড মানি করা, পেমেন্ট দেওয়া, বিল দেওয়া, মোবাইল রিচার্জ করাসহ আরও অসংখ্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারছেন এবং নিরাপদে থাকতে পারছেন। বিকাশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য থেকে। ভ্যালইউ (ঠধষুড়ঁ), হানপাস (ঐধহঢ়ধংং), জিমানি (এসড়হবু) এর মতো ওয়ালেটভিত্তিক সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিকাশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের ফলে, কোভিড ১৯-এর এই সময়েও এসব দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা তাদের মোবাইল ওয়ালেট থেকে কয়েক মুহূর্তেই দেশে স্বজনদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারছেন। বিজ্ঞপ্তি