লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বসতঘরে দুর্বৃত্তের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বিনতি (৮)। ওই আগুনে দগ্ধ বড় মেয়ে সালমা আক্তারকেও (১৮) বাঁচানো গেল না।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ছয় দিন রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যু হয়েছে সালমার। ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে স্মৃতি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর থেকে বিএনপি নেতা বেলাল এই মেয়েকেও দেখতে আসতে পারেননি। এর আগে ছোট মেয়ে আয়েশার চেহারা দেখতে পারেননি, জানাজাতেও অংশ নিতে পারেননি তিনি।
রাত ১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্মৃতি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের মেয়ে। বেলাল নিজেও আগুনে দগ্ধ।
অভিযোগ উঠেছে, গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল হোসেন চরমনসা এলাকায় নিজ ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘুমন্ত শিশু আয়েশা আক্তার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বেলাল হোসেন ও তার দুই মেয়ে। পরে স্থানীয়রা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই মেয়েকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে আজ এক মেয়ে সালমাও মারা যায়।

সূতারগোপ্তা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন ঘটনার পর থেকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আগুনের ঘটনায় বিএনপি নেতা বেলাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ ঘটনাটি তদন্তে কাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি তালা উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে দুটি তালা লক ও একটি খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগানোর আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।


















