ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪৬ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় সেনা অভিযানে ১৩ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু এবং মোহমান্দ জেলায় পৃথক দুই অভিযানে ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহতরা দেশের কট্টর ইসলামপন্থি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান (টিটিপি) এবং এর বিভিন্ন মিত্রগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগ সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, “গোপন সামরিক তথ্যের ভিত্তিতে বান্নু এবং মোহমান্দ জেলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মোহমান্দে ৭ জন এবং বান্নুতে ৬ জন ফিৎনা আল-খারিজি সন্ত্রাসীকে সেনারা হত্যার মাধ্যমে নরকে পাঠিয়েছেন।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অভিযান চলমান এবং আরও সন্ত্রাসী ধরা পড়লে তাদেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আফগান সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া মূলত টিটিপির ঘাঁটি অঞ্চল। অন্যদিকে বেলুচিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) সক্রিয়। উভয় গোষ্ঠীই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ।

ইসলামাবাদভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী সহিংসতার হার ৪৬ শতাংশ বেড়েছে, যা অতীতের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।

পাকিস্তান অভিযোগ করে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও অস্ত্র সরবরাহ করছে। তবে তালেবান কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ সবসময় প্রত্যাখ্যান করেছে।

সম্প্রতি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগানিস্তানের ইসলামি চিন্তাবিদদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্কলাররা জানিয়েছেন, আফগান ভূখণ্ড অন্য কোনো দেশের ক্ষতির জন্য ব্যবহার হতে দেওয়া যাবে না।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দারবি এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে উল্লেখ করেছেন, এমন প্রতিশ্রুতি পূর্বেও তালেবান কর্তৃক বহুবার দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : জিও নিউজ

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ