ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৪০ অপরাহ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় মাঝসমুদ্রে যাত্রীবাহী জাহাজে আগুন, নিহত অন্তত ৫

ইন্দোনেশিয়ায় মাঝসমুদ্রে কেএম বার্সেলোনা ভিএ নামের যাত্রীবাহী জাহাজে ঘটল এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। জাহাজটিতে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী ছিল। আগুনের আতঙ্কে অনেকে জাহাজ থেকে সমুদ্রের পানিতে লাফিয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফেরিটি মানাডো বন্দরের উদ্দেশে যাওয়ার সময় উত্তর মিনাহাসা রিজেন্সির তালিস দ্বীপের কাছাকাছি আগুন লেগে যায়।

ইন্দোনেশিয়ার সংশ্লিষ্ট এজেন্সি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৮৪ জনকে তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আগুন ধরা জাহাজ থেকে সমুদ্রের পানিতে যাত্রীদের লাফিয়ে পড়ার ভিডিও। এতে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছে যাত্রীবাহী জাহাজটি। লেলিহান আগুনের শিখা থেকে বাঁচতে জাহাজের ডেকে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। অনেককে আবার আতঙ্কে জাহাজ থেকে পানিতে লাফিয়ে পড়তেও দেখা গিয়েছে।

শিশুদের কোলে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন কেউ কেউ। একটি ফুটেজে দেখা গিয়েছে সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার আগে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পড়তে সাহায্য করছেন জাহাজের কর্মীরা।

বিপদের বার্তা পেয়ে বিপদগ্রস্ত কেএম বার্সেলোনা ভিএ-এর কাছে পাঠানো হয় আরো তিনটি জাহাজকে। ক্রুজটির আগুন নিভিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে জাহাজগুলো। আশপাশে থাকা মাছ ধরার নৌকাগুলোও যাত্রীদের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন।

অন্তত ৫ জন যাত্রীর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৫০ যাত্রীকে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, আগুনে পুড়ে গেছে জাহাজটি।

এর আগে, গত শনিবার ভিয়েতনামের হালং উপসাগরে সামুদ্রিক ঝড়ের কারণে জাহাজডুবি হয়। সেই সময় ক্রু মেম্বারসহ মোট ৫৩ জন ছিলেন জাহাজটিতে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি মৃতের সংখ্যাটা অন্তত ৩৭।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ