ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৫০ অপরাহ্ন

বিশ্ববাজারে তেলের দরপতন, উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওপেক

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা কমে আসা এবং ওপেকভুক্ত দেশগুলোর তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। সোমবার (৩০ জুন) দিনের শুরুতে বাজারে তেলের দরপতন ঘটে প্রায় ১ শতাংশ হারে।

আগস্ট মাসের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৬ সেন্ট কমে দাঁড়ায় ৬৭ দশমিক ১১ ডলারে। সেপ্টেম্বরের জন্য এ দর আরও কমে হয়েছে ৬৫ দশমিক ৯৭ ডলার, যা ৮৩ সেন্ট কম। একই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৪ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে নেমেছে ৬৪ দশমিক ৫৮ ডলারে।

গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়ে তেল। ২০২৩ সালের মার্চের পর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় পতন। তবে জুন মাসে সামগ্রিকভাবে তেলের দাম বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাস শেষে হিসাব অনুযায়ী দাম বেড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি।

চলতি মাসে ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের জেরে তেলের দাম বেড়ে একপর্যায়ে ৮০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলে বাজারে অস্থিরতা কমে আসে এবং দাম ফের নেমে আসে ৬৭ ডলারের ঘরে।

আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, ‘ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ফলে বাজারে আতঙ্কজনিত যে বাড়তি দাম ছিল, তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে।’

এদিকে ওপেক ও তাদের মিত্র জোটের চারজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আগস্ট মাসে তারা প্রতিদিন অতিরিক্ত ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। মে, জুন ও জুলাই মাসেও একই হারে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৬ জুলাই ওপেক সদস্য দেশগুলো বৈঠকে বসবে এবং সেখানেই পঞ্চম দফা উৎপাদন বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল খনির সংখ্যা আরও ছয়টি কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৩২-এ, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন। তথ্যটি দিয়েছে খনিজ খাতের গবেষণা সংস্থা বেকার হিউজ

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ