২০২৩ সালে নেতৃত্ব ছাড়ার পর আইপিএলে আবার টস করতে নামলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ঘরের মাঠে দিনটা হয়ে থাকল তার দল চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য বিভিষিকাময়। তাদেরকে অনেকগুলো লজ্জার রেকর্ড উপহার দিয়ে জয়ের ফিরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। ১০৪ রানের লক্ষ্য ৫৯ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা।

বল অব্যবহৃত থাকার দিক থেকে এটাই চেন্নাইয়ের সবচেয়ে বড় হার। ২০২০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শারজাহতে হেরেছিল ৪৬ বল বাকি থাকতে।
বল অব্যবহৃত থাকার দিক থেকে কলকাতার এর চেয়ে বড় জয় আছে কেবল একটি। ২০২১ সালে আবু ধাবিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষ দলটি জিতেছিল ৬০ বল বাকি থাকতে।
জয় দিয়ে আসর শুরুর পর এটি চেন্নাইয়ের পঞ্চম হার। আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে দলটি এই প্রথম টানা এতো ম্যাচে হারল। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে হারল টানা তিন ম্যাচে।

ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে চেন্নাই। দশম উইকেট জুটির দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত তারা থামে ৯ উইকেটে ১০৩ রানে। যা প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে তাদের তৃতীয় সর্রনিম্ন। তবে ঘরের মাটে এটাই তাদের সর্বনিম্ন। ঘরের মাঠে তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল ১০৯, মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২০১৯ সালে।
আইপিএলে মুম্বাইয়ের বিপক্ষেই চেন্নাইয়ের সর্বনিম্ন দুটি ইনিংস ২০১৩ সালে ৭৯ এবং ২০২২ সালে ৯৭ রান করে তারা, দুটোই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
আর কলকাতার বিপক্ষে চেন্নাইয়ের আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১১ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ৪ উইকেটে ১১৪।
বল হাতে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আসল কাজ সারেন নারাইন। পরে ওপেনিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
৬ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে কলকাতা। ২ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে চেন্নাই।