উৎপাদন বন্ধ থাকা দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দর যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ দুর্বল কোম্পানি। সপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি রয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে লোকসান গুনছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অ্যারামিট সিমেন্ট, আরএসআরএম স্ট্লি, সাফকো স্পিনিং, সী পার্ল বীচ ও পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড।
অ্যারামিট সিমেন্ট
সপ্তাহের ব্যবধানে অ্যারামিট সিমেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭.৫০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১২ টাকা ; যা গত সপ্তাহে ১৬ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ১০৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটি গত ২ বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
আরএসআরএম স্ট্লি
সপ্তাহের ব্যবধানে রতনপুর স্টিলের শেয়ার দর বেড়েছে ৩১.৯১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১২ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটি ২০২১ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
সাফকো স্পিনিং
সপ্তাহের ব্যবধানে সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ২৬.৮৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১১ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে সাফকো স্পিনিংয়ের। কোম্পানিটি গত দুই বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়না। কোম্পানিটির ২১ কোটি ১ লাখ টাকা পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে।
সী পার্ল বীচ
সপ্তাহের ব্যবধানে সী পার্লের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.০৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ৩৭ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
পেনিনসুলা চিটাগং
সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৭.২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
জেড ক্যাটাগরির পেনিনসুলা ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।