ঢাকা, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে বাড়ছে দুর্বল কোম্পানির সংখ্যা, কমছে বিনিয়োগযোগ্য কোম্পানি

দেশের পুঁজিবাজারে বর্তমানে দুর্বল মানের বা ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। তালিকাভুক্ত ৩৫০ কোম্পানির মধ্যে ১০৩টি বা সাড়ে ২৯ শতাংশ এখন দুর্বল মানের কোম্পানি।দুর্বল মানের এসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে ডিএসইতে জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩টিতে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই নতুন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই ব্যাংক তিন বছর না ঘুরতেই দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর আগে বুধবারও পাঁচটি কোম্পানি জেডশ্রেণিভুক্ত হয়।

কোম্পানিগুলো হলো সমতা লেদার, গোল্ডেন সন, এসএস স্টিল, আমরা টেকনোলজিস ও আমরা নেটওয়ার্কস। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করায় এসব কোম্পানিকে দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গোল্ডেন সন বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ করে দিয়েছে। এ কারণে কোম্পানিটিকে আগামী রোববার থেকে আবারও বি শ্রেণিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি আদেশ জারি করে। সেখানে কোন ধরনের কোম্পানিকে দুর্বল মানের বা জেড শ্রেণিভুক্ত করা যাবে, তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিএসইসির সেই নির্দেশনা মেনে কোম্পানির শ্রেণীকরণ করতে গিয়ে তালিকাভুক্ত ৩৫০ কোম্পানির মধ্যে ১০৩টিই এখন দুর্বল মানের কোম্পানি।

বিএসইসির ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে ওই কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করার বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে কোনো কোম্পানি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে না পারলে সেই কোম্পানিকেও জেড শ্রেণিভুক্ত করার বিধান করা হয়। এই দুই বিধানের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানির শ্রেণি অবনমন হয়েছে।

বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুঁজিবাজারে বর্তমানে যে হারে জেড শ্রেণিভুক্ত শেয়ারের সংখ্যা বাড়ছে, তা বাজারের জন্য উদ্বেগজনক। এ ধরনের কোম্পানির সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় তা দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এ অবস্থায় তালিকাভুক্ত কোম্পানি শ্রেণীকরণের পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত। তা না হলে বাজারে বিনিয়োগযোগ্য শেয়ারের সংখ্যা কমে যাবে। তাতে বাজারে একধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

 

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন