সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে নিয়ে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে। আবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদর নাম ব্যবহার করে অনেকেই রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।
তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদকে বিব্রত করতেই একটি মহল গুজব ছড়িয়ে ফেসবুকে ভুয়া পোস্ট দিচ্ছে। কারণ রাশেদ মাকসুদ কমিশন বিএসইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত সময়ে যারা পুঁজিবাজারে কারসাজি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। বড় অংকের জরিমানা করেছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিএসইসির দায়িত্ব গ্রহণ করে রাশেদ মাকসুদ কমিশন। বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নানা ভাবে গুজব রটিয়ে তাকে বিব্রত করছে একটি চক্র। বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন সময়ে রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেছে। বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলতেই একটি মহল বারবার চক্রান্ত করছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাশেদ মাকসুদ এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ব্যাংকটিতে ঋণ জালিয়াতি হয়েছিল। ঋণ জারিয়াতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুদক ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ আরো ৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান মো. আতিকুল আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এবিষয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে বিব্রত করতেই যে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে তার সত্যতা পাওয়া গেছে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘পদত্যাগ করছেন না বিএসইসি চেয়ারম্যান, মকসুদকে রাখতে জামাত নেতাদের চাপ’ শীর্ষক দাবিতে সমকাল কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সমকালের ডিজাইন নকল করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ এতে জাতীয় দৈনিক সমকালের নাম ও লোগো দেখা যায়। এছাড়াও, ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৬ জানুয়ারি ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি যাচাইয়ে সমকালের ফেসবুক পেজে গত ৬ জানুয়ারি বা এর আগে-পরে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত দাবি সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবি সম্বলিত কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, সমকাল কর্তৃক প্রকাশিত অন্যান্য ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির টেক্সট ফন্টের পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও, ফটোকার্ড দুটির ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা।