২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরিয়ে আনা পাঠ্যবইগুলোতে জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর লেখা প্রবন্ধ ও কবিতা সংযোজন করা হচ্ছে।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে সাতটি গদ্য এবং চারটি কবিতা বাদ দিয়ে যুক্ত হচ্ছে দুটি নতুন গদ্য, যার মধ্যে একটি জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে সংকলিত লেখা। একইভাবে, ইংরেজি বইয়ে ফাদার অব দ্য নেশন অধ্যায় বাদ দিয়ে যুক্ত হচ্ছে “গ্রাফিতি (জুলাই অভ্যুত্থান)”, “সেন্স অব সেলফ” এবং “লোনলিনেস” নামে তিনটি নতুন অধ্যায়।

বাদ পড়া সাহিত্যকর্ম
বাংলা বই থেকে বাদ পড়ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’, কবীর চৌধুরীর ‘পয়লা বৈশাখ’, সেলিনা হোসেনের ‘রক্তে ভেজা একুশ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নিয়তি’, এবং ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘তথ্যপ্রযুক্তি’।
কবিতার তালিকায় বাদ পড়ছে কাজী নজরুল ইসলামের ‘আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’, এবং কামাল চৌধুরীর ‘সাহসী জননী বাংলা’।
পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তনের কারণ
জুলাই অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত পাঠ্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে এই পরিবর্তনগুলো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। নতুন বইগুলোতে অভ্যুত্থানের সময়কার গ্রাফিতি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে প্রায় ৪০ কোটি ৩৯ লাখ নতুন বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। তবে বছরের শুরুতেই সব বই বিতরণ নিয়ে কিছু শঙ্কা রয়েছে।
