পুঞ্জীভূত লোকসানে জর্জরিত পাট খাতের কোম্পানি জুট স্পিনার্স লিমিটেড। দীর্ঘদিন লোকসানে থাকা কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ করার মত নেই কোন আশার আলো। তবুও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর। গত ১ সপ্তাহে কোম্পানিটির দর প্রায় ২৮ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারটির এমন দর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি চক্র সক্রিয় বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, জুট স্পিনার্স সাপ্তাহিক টপটেন গেইনারের শীর্ষে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭.৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৯১ টাকা ; যা গত সপ্তাহে ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

জুট স্পিনার্স দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটি গত ১২ বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়না। এদিকে সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিকে জুট স্পিনার্সের লোকসান ১০ টাকা ২৮ পয়সা।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানির সচিব এ.টি.এম মোস্তফা বিজনেস আই বাংলাদেশকে বলেন, কোম্পানিটি প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটির দর বৃদ্ধির পেছনে কোন ভালো খবর আমার জানা নেই। কোম্পানিটির বোর্ড সভা কবে হবে? এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি এ.টি.এম মোস্তফা।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগ জুন ক্লোজিং কোম্পানি ইতোমধ্যে লভ্যাংশ সংক্রান্ত বোর্ড সভা অনুষ্ঠান করেছে। তবে জুট স্পিনার্স এখনো বোর্ড সভার কোন তারিখ ঘোষণা করেনি।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এর আগেও জুট স্পিনার্সের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে কারসাজি চক্র সক্রিয় ছিল। বিগত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং লেনদেনের কারণে ডিএসই সতর্ক করে। কিন্তু কোম্পানিটির পক্ষ থেকে দায়সারা জবাব কোন অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বৃদ্ধি পাচ্ছে (চলতি বছরের ৭ মার্চ তথ্য অনুযায়ী)।
উল্লেখ্য, জুট স্পিনার্স ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর অনুমোদিত মূলধন ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার রয়েছে ১৭ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩৯.৮২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩.২০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬.৯৮ শতাংশ শেয়ার আছে।