উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১১ জেলায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জনেরো বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ১৮ জন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ‘সবার পাশে আমরা ফাউন্ডেশন’ এবং ‘রিয়েলমি টিম’ যৌথভাবে গত শনিবার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লার লাকসামের বানভাসি ২০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ওষুধ বিতরণ করেন।
সংগঠনটির প্রধান শফিকুল আশরাফ তুহিন এর পক্ষ থেকে জানা যায় মেহেদী হাসান লিয়নের নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবীর সহায়তায় অসহায় মানুষদের মাঝে এসকল প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিতরণ করেন এবং আজ রবিবার (২৫ আগস্ট) তারা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আব্দুল্লাহপুর সহ আশেপাশের ভিবিন্ন এলাকা মিলিয়ে আরো প্রায় ১৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার,খাবার সেলাইন পানি বিশুদ্ধ করন টেবলেট মোম বাতি শিশু খাদ্য সেনিটারি নেপকিন সহ প্রয়োজনীয় উপকরন বিতরন করবেন।

সংগঠনটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা দেখেছেন এখনো অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় কোন প্রকার ত্রান পৌছায়নি, অনেক বানভাসি পরিবার গত ৫দিন পানির উপর খাবার এবং সুপেয় পানি সংকটের মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ফাউন্ডেশন ও রিয়েলমি টিম পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে বন্যার পানিতে আটকে পরা অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে।
তারা আরও বলছেন, তাদের এই সামান্য উপহারে অসহায় মানুষদের জন্য কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। সর্বমোট ২০০ পরিবারকে আমরা সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি। এসব জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রায় ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ৫ জন, নোয়াখালীতে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন।