জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) আবাসিক প্রতিনিধি ইউজি আনন্দ। তিনি বলেন, প্রতি বছর ৫০টি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। কিন্তু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এখনও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা আরও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ চায়।
জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধি আরও বলেন, বাংলাদেশে কর-সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে, যেগুলো দ্রুত সংস্কার করলে জাপানসহ অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগের অনেক আকর্ষণীয় স্থান হবে। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে এসব প্রতিবন্ধকতা দ্রুত সমাধান করতে হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ইআরএফ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে জাপানের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, এখনও সুযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে হতে পারে জাপানোর অন্যতম বিনিয়োগের স্থান। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম, বার্তা সংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ এম শফিকুল আলম, রয়টার্সের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধি আরও বলেন, চীন থেকে যে পরিমাণ কোম্পানি কারখানা স্থানান্তর করবে বলে অনেকে মনে করছেন, বাস্তবে ততটা হবে না। কোম্পানিগুলো কারখানা চীনে রেখে অন্যান্য দেশে নতুন কারখানা করতে পারে। আর কারখানা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে।
জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধি আরও বলেন, জাপানের যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করছে তার ৭০ ভাগ কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণে অগ্রহী। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ইআরএফ ও জেট্রো যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। উভয় দেশের যে বন্ধুত্বপূণ সম্পর্ক সেটা বাড়াতে ইআরএফ জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
