ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:৪১ অপরাহ্ন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭০,৯৩৭

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ৯৩৭ জনে। গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ৭১ হাজার ১৯২ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ৪০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১ হাজার ১১৫ জন আহত হয়েছেন, যা যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোর বড় অংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকটের কারণে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে গাজার বাইরে, সংযুক্ত পূর্ব জেরুজালেমেও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ‘অননুমোদিত নির্মাণ’ অভিযোগে সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্ছেদ ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোরে ইসরায়েলি বুলডোজার পূর্ব জেরুজালেমে একটি চারতলা আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দেয়। মধ্যরাতে নিরাপত্তা বাহিনী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাসিন্দাদের দ্রুত উচ্ছেদ করে। হঠাৎ এই অভিযানের ফলে বহু ফিলিস্তিনি পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কোথায় যাবে তা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় পড়েছে।

স্থানীয় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই উচ্ছেদ ও ভাঙচুরকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উৎখাতের একটি ‘পদ্ধতিগত নীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ভবনটির বাসিন্দা ঈদ শাওয়ার এই ঘটনাকে সবার জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি বলে মন্তব্য করেন।

পুরোনো শহরের কাছাকাছি সিলওয়ান এলাকায় অবস্থিত ওই চারতলা ভবনে প্রায় এক ডজন ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে আনুমানিক ১০০ জন মানুষ বসবাস করতেন, যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ছিল।

পাঁচ সন্তানের বাবা ঈদ শাওয়ার বলেন, তারা যখন গভীর ঘুমে ছিলেন, তখন ইসরায়েলি বাহিনী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। পরিবারকে কেবল জামাকাপড় বদলানো এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। অন্য কোনো আশ্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায়, তার সাত সদস্যের পরিবারকে গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ