চট্টগ্রামের পেঁয়াজ বাজারে উর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ভারতের পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। তবে খাতুনগঞ্জ, পাহাড়তলী ও চাক্তাইসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে দাম এখনও কমেনি। খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা অভিযোগ করেছেন, সরকার আমদানি উন্মুক্ত করেনি এবং সীমিত সংখ্যক ব্যবসায়ীর জন্যই আইপি দেওয়া হয়েছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ আসছে না এবং দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমদানি সকল ব্যবসায়ীর জন্য উন্মুক্ত হলে দাম স্বাভাবিক হতো। সীমিত আকারে পেঁয়াজ আসছে, যা অল্প সময়েই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে ১০ দিন সময় লাগবে।”
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রামে কোনো আমদানিকারক নেই। সব ব্যবসা কমিশনের মাধ্যমে হয়। সীমান্ত থেকে মুঠোফোনে দাম নিয়ন্ত্রণ ও ‘ওঠানামা’ করা হচ্ছে। এতে সীমান্তে দাম নিয়ন্ত্রণ না হলে দেশীয় বাজারে প্রভাব পড়বে না বলে ব্যবসায়ীরা মন্তব্য করেছেন।
জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের কাছে কেনাবেচার কোনো কাগজপত্র নেই এবং ইচ্ছামতো বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জে দুই শতাধিক আড়তদার রয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি আড়তে পেঁয়াজ-রসুন পরিপূর্ণ, সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু দাম কমছে না, কারণ কমিশনে বাণিজ্যে অনিয়ম ও অসাধু চক্রের সুযোগ রয়েছে।



















