মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য নতুন বাধা তৈরি করছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। কিছু অভিবাসী পরামর্শদাতা গোষ্ঠী আশঙ্কা করছে যে গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে প্রশাসনের সাথে যারা দ্বিমত পোষণ করেন, তাদের উপর নতুন অভিবাসন আইন ব্যবহার করে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ তকমা আরোপ করা যেতে পারে।
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার পরিচালক জোসেফ এডলো সম্প্রতি বলেছেন যে তিনি এমন যে কারও বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করছেন যারা নাগরিকত্ব পেতে চান কিন্তু আসলে মার্কিন নাগরিক হওয়ার অর্থ কী তা অনুসরণ করতে চান না।
এই প্রেক্ষিতে,আগস্টে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা সংস্থা একটি স্মারকলিপি জারি করেছে যা ভাল নৈতিক চরিত্র মূল্যায়নের মানদণ্ড আরও কঠিন করেছে। আগে, অপরাধমূলক কাজে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং অন্যান্য অন্যায় কাজ, যেমন শিশু ভরণপোষণ প্রদানে ব্যর্থতার মতো বিষয় পর্যালোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখন, অভিবাসন কর্মকর্তাদের অবশ্যই পারিবারিক সেবা-যত্ন, শিক্ষাগত অর্জন, স্থিতিশীল কর্মসংস্থান এবং প্রতিবেশীদের সাথে সম্পৃক্ততার মতো ইতিবাচক গুণাবলীও পরীক্ষা করতে হবে।
সংস্থাটি একটি নীতিমালায় আরও বলেছে যে, মার্কিন নাগরিকত্ব আবেদনসহ অভিবাসন সুবিধার জন্য আবেদনে আমেরিকা-বিরোধী বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যেকোনো ধরণের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এর কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির প্রতি লোকেদের সমর্থন পরীক্ষা করবেন এবং আমেরিকা-বিরোধী কার্যকলাপ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সামাজিক মাধ্যমগুলিতে যাচাইকরণ প্রসারিত করবেন।
সংস্থাটি বলেছে যে তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারী অভিবাসীদের আশেপাশের এলাকায় তদন্ত পুনরায় শুরু করবে, যার অর্থ কর্মকর্তারা যাচাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আবেদনকারীদের প্রতিবেশী এবং সহকর্মীদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন। ২০ অক্টোবর বা তার পরে আবেদনকারীদের একটি কঠিন নাগরিক পরীক্ষাও দিতে হবে, যার জন্য তাদের ২০টির মধ্যে ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং সম্ভাব্য প্রশ্নের তালিকা ১০০ থেকে ১২৮-এ উন্নীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার সর্বশেষ ত্রৈমাসিক তথ্য অনুসারে, ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৬ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকত্বের আবেদন অনুমোদন করেছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ৮ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি।