দক্ষিণ চীন সাগরে আধঘণ্টার ব্যবধানে দুটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস নিমিৎজ’ থেকে। একটিতে ছিল যুদ্ধবিমান, অন্যটিতে হেলিকপ্টার। তবে সৌভাগ্যক্রমে উভয় উড়োজাহাজের পাঁচ ক্রু সদস্যই জীবিত আছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) সোমবার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানায়, রবিবার বিকেলে দক্ষিণ চীন সাগরে টহলরত অবস্থায় ইউএসএস নিমিৎজ থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ–১৮এফ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান ও একটি এমএইচ–৬০আর সি হক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
মার্কিন নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর হেলিকপ্টারের ৩ ক্রু সদস্যকে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। একইভাবে যুদ্ধবিমানের দুই পাইলট ইজেক্ট করে নিরাপদে উদ্ধার হন। পাঁচজনই বর্তমানে নিরাপদ এবং শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন।
ফ্লিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এপি আরও জানায়, অবসরের আগে এটি ইউএসএস নিমিৎজের শেষ মিশন। দীর্ঘ গ্রীষ্মকাল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানের পর রণতরীটি এখন ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের নেভাল বেস কিটস্যাপ–এর পথে রয়েছে।
অন্যদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার জবাবে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদারের অংশ হিসেবে নিমিৎজকে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল।
মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীতে দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান রণতরীতেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে, বাড়ছে আশঙ্কাঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আরও শক্তি সঞ্চয় করছে, বাড়ছে আশঙ্কা
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস গেটিসবার্গ ভুলবশত ট্রুম্যান থেকে উড্ডয়ন করা একটি এফ/এ–১৮ জেট ভূপাতিত করে। চলতি বছরের এপ্রিলে আরেকটি যুদ্ধবিমান ট্রুম্যানের হ্যাঙ্গার ডেক থেকে পিছলে পড়ে যায় লোহিত সাগরে।
এরপর মে মাসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে—তখন ট্রুম্যান রণতরীতে অবতরণের সময় এক এফ/এ সিরিজের বিমান থামার তারে আটকে না গিয়ে সাগরে পড়ে যায়, ফলে পাইলটদের বাধ্য হয়ে ইজেক্ট করতে হয়। যদিও এসব দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হননি। এসব ঘটনার তদন্ত শেষ হলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
