ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, ৫:১৬ পূর্বাহ্ন

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

শান্তিচুক্তিতে সই করলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন। ছবি: রয়টার্স।

শান্তিচুক্তিতে সই করলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন। ছবি: রয়টার্স।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে একটি সম্প্রসারিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা। রবিবার (২৬ অক্টোবর) শান্তিচুক্তির একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপু শুরু হওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এ চুক্তি সই করেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি আসিয়ান সভাপতি হিসেবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেছেন।

এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের অবসানের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

রয়টার্স জানায়,আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের আগমনের কিছুক্ষণের মধ্যেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮১৭ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ে বিরোধ শত বছরের পুরোনো। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা গত ২৪ জুলাই সামরিক সংঘর্ষে রূপ নেয়।

জুলাই মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প নিজে হস্তক্ষেপ করে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলা পাঁচ দিনের রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ নেন। তিনি সে সময় দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন যে, সংঘাত অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত হতে পারে।

নতুন এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি তিন মাস আগে অর্জিত একটি অন্তর্বর্তী সমঝোতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সংশোধিত চুক্তিতে সীমান্তে যৌথ নজরদারি, সামরিক উপস্থিতি সীমিতকরণ এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘কূটনৈতিক অর্জনের আরেকটি দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

সীমান্তবিরোধ নিয়ে দশকের পর দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। তবে সবশেষ সংঘাত ছিল ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ