বাংলা চলচ্চিত্রের প্রয়াত রাজকুমার জনপ্রিয় নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এর আগে গতকাল দুপুরে প্রয়াত এই নায়ক কি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানতে সালমান হত্যা মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এ মামলায় প্রথম আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে সালমানের প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা হককে। অন্যান্য আসামিরা হলেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, খলনায়ক ডন। সালমান শাহকে হত্যা মামলায় তার প্রাক্তন স্ত্রীসহ মোট ১১ জনের নাম রয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সালমান শাহর বাবা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। উনি অনেক চেষ্টা করেছে অপমৃত্যুকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করতে। চেষ্টা করতে করতে উনিও দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। এখন এতদিন পর এটা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ এটা প্রমাণ হবে হত্যা না আত্মহত্যা। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হয়ে যাবে। আপনারা ও দেশবাসী জানবে দেখবে এটা প্রমাণ হবে যে এটা হত্যা।’
বাদী পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১১ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কিছু আসামি হতে পারে। আমরা এখানে একটা অপশন রেখেছি, উল্লেখ থাকবে যে, যদি কেউ মারা যায় তাহলে তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেয়া হবে।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়।



















