ভারতের ত্রিপুরায় জনতার পিটুনিতে নিহত হবিগঞ্জের তিন বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দর সংলগ্ন প্রহরমুড়া সীমান্ত দিয়ে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। ভারতের খোয়াই থানা পুলিশের কাছ থেকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের হাতে থেকে লাশ গ্রহণ করে বিজিবি।
বাল্লা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার আবুল খায়েরের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ছালিমুর রহমান, চুনারুঘাট থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম এবং বাল্লা বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খাইরুল আলম। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণ ধন সরকার এবং বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কুলদিপসহ পুলিশের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন নিহতদের স্বজনেরাও।

জানা গেছে, বুধবার সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার আশারামবাড়িতে জনতার হাতে তিন বাংলাদেশি নিহত হন। তারা হলেন— হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত আশ্বব উল্লার পুত্র জুয়েল মিয়া (২৫), বাসুল্লা গ্রামের কনা মিয়ার পুত্র পণ্ডিত মিয়া (৩০) এবং কবিলাষপুর গ্রামের কদ্দুস মিয়ার পুত্র সজল মিয়া (২৮)।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তারা ১৪ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১৫ অক্টোবর ভারতের আশারামবাড়ি এলাকায় স্থানীয় জনতা তাদের গরু চুরির অভিযোগে আটক করে কুপিয়ে ও তীর নিক্ষেপ করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে ত্রিপুরার খোয়াই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে খোয়াই হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।



















