ফের পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ দুর্বল কোম্পানি। সপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটিই রয়েছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে লোকসান গুনছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হচ্ছে- শ্যামপুর সুগার মিলস, জিলবাংলা সুগার মিলস, জাহিন টেক্সটাইল ও আজিজ পাইপস লিমিটেড।
শ্যামপুর সুগার
সপ্তাহের ব্যবধানে শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর বেড়েছে ২৪.৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১২৩ টাকা ৩০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৫৩ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৬২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটি গত দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
জিলবাংলা সুগার
সপ্তাহের ব্যবধানে জিলবাংলা সুগারের শেয়ার দর বেড়েছে ২২.৫৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৮৪ টাকা ১০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১০৩ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৬৪৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
জাহিন টেক্সটাইল
সপ্তাহের ব্যবধানে জাহিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ২১.৯৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল টাকা ৪ টাকা ১০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ৫ টাকা দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে কোম্পানিটি ২৯ কোটি টাকা পুঞ্জীভূত লোকসানে রয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়না।
আজিজ পাইপস
সপ্তাহের ব্যবধানে আজিজ পাইপসের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৭৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ৬৩ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে আজিজ পাইপসের ৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে। কোম্পানিটি ২০২১ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয় না।