বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। ভাড়াটিয়া বিতাড়ন ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমালোচনার মুখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পদত্যাগপত্রের একটি ছবি প্রকাশ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুশনারা।
২০২৪ সালের ৪ জুলাইয়ের নির্বাচনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের পর রুশনারা আলীকে গৃহায়ন, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পূর্ব লন্ডনের নিজস্ব টাউনহাউস থেকে চারজন ভাড়াটিয়াকে বের করে দেওয়া এবং ভাড়া ৭০০ পাউন্ডে বাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। একসময় ভাড়াটিয়াদের শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলেও নিজেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে নির্বাচিত রুশনারা আলী ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হন। সম্প্রতি প্রকাশিত অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি পূর্ব লন্ডনের তার টাউনহাউস থেকে চারজন ভাড়াটিয়াকে সরিয়ে দেন এবং এরপর ভাড়া বাড়িয়ে দেন ৭০০ পাউন্ড। যদিও রুশনারার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, বাড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়াদের সরানো হয়েছিল, কিন্তু ক্রেতা না পাওয়ায় আবারও বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়।
এই সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান রুশনারা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, ভারাক্রান্ত মনে আমি মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের প্রস্তাব দিচ্ছি। লেবার সরকারের প্রতি আমার আনুগত্য সবসময় বজায় থাকবে।” অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি সবসময় আইন অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছেন এবং দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করেছেন। তবে মন্ত্রী পদে থাকলে সরকারের কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে তিনি মনে করেন, তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
