আজকের প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। এই কর্মশালায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে—সিকিউরিটিজ বন্ধক, অবমুক্তকরণ এবং বাজেয়াপ্তকরণ। ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনায় নেয় তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে আপনারা লিস্টিং রেগুলেশন ও সিডিবিএল বাইলজ অনুযায়ী একটি মৌলিক ধারণা লাভ করেছেন, যা আপনাদের পেশাগত জীবনে কার্যকরভাবে কাজে লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আজ ৬ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে ডিএসই লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী “ব্যাংক ও এনবিএফআই-এর জন্য ডিএসই তালিকাভুক্তি বিধিমালা অনুসারে বন্ধক রাখা শেয়ার বাজেয়াপ্তকরণ শীর্ষক এক কর্মশালায় ডিএসই’র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব কথা বলেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি হাইব্রিড (অনলাইন ও ফিজিক্যাল) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান, লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলাম এবং সিডিবিএল এর মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, শুধু আইন কানুন জানলে হবে না নৈতিকতার অনুশীলন করতে হবে। তাহলে আমরা একটি পরিছন্ন পুঁজিবাজার পাবো৷
তার আগে ডিএসই’র প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস অংশগ্রহণকারীদের আজকের এই ট্রেনিং প্রোগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, ডিএসই’র পক্ষ থেকে আমরা এই জাতীয় প্রোগ্রামগুলো নিয়মিত আয়োজন করার চেষ্টা করবো। বর্তমানে এই প্রোগ্রামগুলোতে অনলাইন এবং অফলাইন উভয় পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে আগ্রহী ব্যাক্তিগন খুব সহজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

পরে ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলাম তালিকাভুক্তি নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য সিকিউরিটিজের অধীনে ডকুমেন্টেশন বন্ধকতা এবং বাজেয়াপ্তির আইন এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক (সিডিএস অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রশিক্ষণ), রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী অঙ্গীকারকৃত, অঙ্গীকারবিহীন এবং বাজেয়াপ্তকরণ সংক্রান্ত ডিপি অপারেশন বিষয়ে আলোকপাত করেন৷