গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে কক্সবাজারে ভ্রমণ এবং সেই ভ্রমণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এনসিপি। দলের দপ্তর সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত এক নোটিশে এই নির্দেশ দেন।
এই পাঁচ নেতা হলেন—এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
তাঁদের কাছে পাঠানো পৃথক পৃথক নোটিশে বলা হয়, ‘গতকাল ৫ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আপনি এবং দলের আরও চারজন কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সফরসংক্রান্ত কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক পর্ষদের’ নিকট পূর্বে অবগত করা হয়নি। এমতাবস্থায়, আপনার এই সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক জনাব মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব জনাব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
এর আগে কক্সবাজারের একটি হোটেলে বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ খবরকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন দলের মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজারে যান এনসিপির পাঁচ নেতা—হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং তাসনিম জারা ও তাঁর স্বামী এনসিপি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ। কক্সবাজারের সি পার্ল হোটেলে ওঠেন তাঁরা।
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেনগণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে কেন
একই হোটেলে অবস্থান করা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বেলা ১১-১২টার দিকে তাঁরা বৈঠক করেছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য, পরে জানতে পারা যায়, পিটার হাস বাংলাদেশে নেই।
এই খবরকে ‘গুজব’ বলে দাবি করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কক্সবাজারে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের কোনো মিটিং হয়নি। পুরোটাই গুজব ও প্রোপাগান্ডা। আমরা ঘুরতে এসেছি। হোটেলে চেক-ইন করে এমন নিউজ দেখলাম। এটা গুজব।’