বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (রবিবার) তিনি ক্লাবের একটি রুমে রাত্রিযাপনের জন্য ওঠেন। আজ সকালে তার সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের দরজা ভাঙা হয়। সেখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্ত কমিটি গঠন / র্যাব পরিচয়ে হুমকি, পরিচালকের গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন চালক ও দেহরক্ষী!
হারুন অর রশিদ ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেনাপ্রধান হন এবং ২০০২ সালের ১৬ জুন তিনি অবসরে যান। চাকরি থেকে অবসরের পর হারুন অর রশিদ ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি হন। গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের মামলায় সাবেক সেনাপ্রধান হারুনকে কারাগারে যেতে হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রবিবার বিকালে হারুন অর রশিদ চট্টগ্রাম ক্লাবের ৩০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সকালে ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে মরহেদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

সেনাবাহিনীর ২৪তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন হারুন অর রশিদ। ১৯৭০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। শুরুতে ইঞ্জিনিয়ার কোরে যেতে চাইলেও কোম্পানি কমান্ডারের পরামর্শে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সেনা ক্যারিয়ারে তিনি কুমিল্লার ৪র্থ ইবিআর-এ প্রথম পোস্টিং পান।
পরবর্তীতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে তিনি জর্জিয়ায় বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে তিনি একাডেমিক মনোভাবের জন্য পরিচিত ছিলেন। আর্মি স্টাফ কলেজ এবং পদাতিক ও কৌশল স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।
অবসরের পর তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি হন।
এদিকে হারুন অর রশিদের মৃত্যুতে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকালে খবর পেয়েছি, তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা শোকাহত।’