ঢাকা, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৪২ অপরাহ্ন

মিরপুরের উইকেট নিয়ে মুখ খুললেন ফাহিম

বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে রাজধানীতে ফিরেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ফিরেছিল মিরপুরের চেনা দৃশ্যও—লো স্কোরিং, স্লো ও টার্নিং উইকেট। প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলের ব্যাটাররা পড়েছিলেন বেকায়দায়। ম্যাচ শেষে সমালোচনা হয়েছিল প্রবলভাবে। পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন সরাসরিই বলেছিলেন, ‘এই উইকেট আন্তর্জাতিক মানের নয়।

এবার বিসিবির পক্ষ থেকেও এলো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া—উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

শুক্রবার (০১ আগস্ট) চট্টগ্রামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, ‘বোর্ড থেকে কখনোই বলা হয়নি লো ও স্লো উইকেট তৈরি করতে হবে। বরং আমরা বরাবরই চাই একটা স্পোর্টিং উইকেট হোক, যেখানে ভালো বাউন্স থাকবে, ব্যাট-বলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিন্তু যারা উইকেট তৈরি করে, তারা সেটা করতে পারেনি—এই দায়টা তাদেরই।’

ফাহিম শুধু সমস্যা চিহ্নিত করে থেমে থাকেননি, ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। তার মতে, ‘যেখানে এত খেলা হয়, সেখানকার মাটির গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন থাকতেই পারে। মিরপুরের উইকেট মোটেই সন্তোষজনক নয়, এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। ভবিষ্যতে হয়তো পুরো মাটিই সরিয়ে ফেলতে হবে, নয়তো এটিকে একটি সঠিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। তবেই মিরপুরে মানসম্মত উইকেট দেখতে পারব।

মিরপুরের ঐতিহ্যগত কালো মাটির উইকেট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফাহিম। তার ব্যাখ্যা, ‘যদি উইকেটে ঘাস থাকত, তাহলে বলের ক্ষয়ক্ষতি কম হতো। এখন তো মাটির সঙ্গে সংঘর্ষে বলের রঙও বদলে যায়, বলের মধ্যে কালো দাগ পড়ে যায়। এটা অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর।’ তিনি বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বক্তব্যকেও সমর্থন করেন।

এর আগে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য ভালো উইকেট দরকার। মিরপুরের উইকেট আদর্শ নয়। এখানে অনুশীলন করলে ব্যাট ভেঙে যায়, ব্যাটিং করা যায় না, আত্মবিশ্বাসও জন্মায় না।

এই সিরিজেই দেখা গেছে মিরপুরের উইকেটের বাস্তব রূপ—প্রথম দুই ম্যাচেই দলগুলোর সংগ্রহ ছিল ১৪০-এর আশপাশে। পাকিস্তানের ইনিংসের একটি পর্যায়ে তো স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৩০ রানে ৬ উইকেট! এমন উইকেটে ব্যাটিং গড়ে তোলা দূরের কথা, টিকে থাকাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ