ঢাকা, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ন

স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ বাড়িতে রেখে সন্তানসহ থানায় হাজির স্বামী

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৩২) হত্যার পর শিশু সন্তানকে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পন এক যুবক।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার চন্দ্রগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ছালমা উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলীর মেয়ে।

অভিযুক্ত স্বামী সরোয়ার হোসেন একই উপজেলার নদমুলা গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসায় চাকরির সুবাদে সালমা আক্তার ও তার স্বামী সরোয়ার হোসেন একমাত্র সন্তান নিয়ে উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামে মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। বুধবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক কলহ হয়। কলহের জেরে স্বামী সরোয়ার ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সালমা আক্তার।

হত্যাকাণ্ডের পর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান সরোয়ার। পরে বিবেকের তাড়নায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে থানায় হাজির হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, সরোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ঘটনা শুনে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। শিশুটিকে পরিবারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করবো।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সরোয়ার জানিয়েছেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ