একটি কোম্পানি যখন আইপিও এর মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়, তখন শুধুমাত্র শেয়ারবাজারে প্রবেশের একটি ধাপ সম্পন্ন করে। তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটিকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম ও নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করা। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হলে ধারাবাহিকভাবে তালিকাভুক্তির শর্তসমূহ পূরণ করাই সঠিক ও দায়িত্বশীল কর্পোরেট আচরণ।
ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ৩ (তিন) দিনব্যাপী “Continuing Listing Requirements Post IPO” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপণী দিনে ২৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিএসই’র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ ও ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির উপ- মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল আমিন রহমান।
তিনি আরও বলেন, দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগের পূর্বে কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন, নিয়মিতবার্ষিক সাধারণ সভা, অর্থবার্ষিক হিসাব, কোয়াটার্লি হিসাব ইত্যাদি মূল্যায়ন করে বিনিয়োগ করে থাকে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো লিষ্টিং পরবতী নিয়ম ও নীতিমালা পরিপালন করলে কোম্পনির বিনিয়োগকারীগণ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারও উপকৃত হবে।
৩ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিএসইসি’র পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, এফসিএ এবং ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ রবিউল ইসলাম কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড ২০১৮, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯, বিএসইসি (রাইটস ইস্যু) রুলস ২০০৬, রিভ্যালুয়েশন গাইডলাইনস, ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং সিস্টেম এবং কমপ্লায়েন্স ইন লিস্টিং রিকুয়ারমেন্টস এন্ড এনফোর্সমেন্টস বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরে সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডিএসই’র পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি