পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শুক্রবার বলেছেন, পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ফল মেনে নিতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
শুক্রবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
শুক্রবার কুয়ালালামপুরে আসিয়ান ফোরামের ফাঁকে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক অনুষ্ঠানে দার বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সামরিক যুদ্ধবিরতি ঠিকমতো চলছে, কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা মেনে নিতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু করেছিল ভারত, আর শেষ করেছে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়ে। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, ভারত যুদ্ধবিরতি চায়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবর্ষণ নিয়ে চার দিনব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ে রূপ নেয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। তবে ভারত দাবি করেছে, এ যুদ্ধবিরতি কোনো মার্কিন মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের হুমকির কারণে নয়।
দার জানান, ভারতের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান‘অপারেশন বুনয়ানুম মারসুস’ নামে বড় পরিসরের সামরিক অভিযান চালিয়ে একাধিক ভারতীয় সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তিনি দাবি করেন, এ সংঘর্ষে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে চারটি রাফাল জেট রয়েছে, ভূপাতিত করেছে।
৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকালে দার ভারতের ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ বাতিলের সিদ্ধান্তকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানের পানি থামাতে বা দিক পরিবর্তন করতে পারবে না… নয়াদিল্লি ক্রমেই বৈশ্বিক পর্যায়ে একঘরে হয়ে পড়ছে। তাদের আগ্রাসী নীতির কারণে ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’