মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলের পণ্যে ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিচার বন্ধের দাবি তুলেছেন। এক খোলা চিঠির মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন, যা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
চিঠিতে ট্রাম্প ব্রাজিলকে অভিযুক্ত করেন, মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর উপর “আক্রমণ” চালানোর জন্য এবং বলসোনারোর বিরুদ্ধে “উইচ হান্ট” চালানোর অভিযোগে।

ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ট্রাম্পের হুমকির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “আমরা পাল্টা শুল্ক আরোপ করব এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করব না।” তিনি আরও বলেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে লুলার বিজয়ের পর নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নিয়ে সহিংস হামলার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি। সেই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।
ট্রাম্প তার চিঠিতে বলসোনারোর বিচারকে “আন্তর্জাতিক কলঙ্ক” বলে অভিহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলে বেশি পণ্য রপ্তানি করে – ফলে এই শুল্ক উভয় দেশের ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। পাল্টা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি, জ্বালানি এবং প্রযুক্তি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ট্রাম্প বলছেন, ব্রাজিল মার্কিন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সেন্সর করছে, যা তার কোম্পানি ট্রাম্প মিডিয়ার বিরুদ্ধেও প্রযোজ্য।
তিনি BRICS জোটকে “অ্যান্টি-আমেরিকান” আখ্যা দিয়ে ঐ দেশগুলোর পণ্যে অতিরিক্ত ১০% শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, ট্রাম্প আবারও একটি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছেন, এবং ব্রাজিলের মতো উদীয়মান শক্তিগুলোর সাথে কূটনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। অন্যদিকে, লুলা ট্রাম্পের এই হস্তক্ষেপকে গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থার উপর হুমকি হিসেবে দেখছেন।