ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৯:৩২ অপরাহ্ন

দুদক কর্মকর্তা শরীফকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ হাইকোর্টের

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে জ্যেষ্ঠতা এবং সব সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের বেঞ্চ এই রায় দেন।

এর আগে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বেতন, সব সুবিধাসহ তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বুধবার রায় দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। পরে কোনো ধরনের কারণ দর্শানো ছাড়াই কোনো কর্মীকে চাকরি থেকে অপসারণ-সংক্রান্ত দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) বিধির বৈধতা নিয়ে ও চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১৩ মার্চ শরীফ রিটটি করেন। শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন।

এদিকে রায়ের পর শরীফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। ৫ আগস্টে অভ্যুথ্থান না হলে হয়তো আমি ন্যায় বিচার পেতাম না। আমি যাতে সামনের দিনগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কমিশনের আদেশ অনুযায়ী যাতে চলতে পারি সবার কাছে দোয়া চাই।’

উল্লেখ্য, উপসহকারী পরিচালক হিসেবে শরীফ উদ্দিন প্রায় সাড়ে তিন বছর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। সে সময় এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করার অভিযোগে ২০২১ সালের জুনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একজন পরিচালক, ৬ কর্মীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। এ মামলার পরপর ওই বছরের ১৬ জুন তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এর আট মাসের মাথায় চাকরি থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তারপর বাধ্য হয়ে চট্টগ্রামের ষোলোশহরে ভাইয়ের একটি কনফেকশনারি দোকানে বসেন শরীফ। সেই খবরটি ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর আজকের পত্রিকায় ছাপানো হয়। এর পরপরই ৩৫টি কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব পান শরীফ।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ