চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কারে ডাক পেয়েছেন পাঁচজন ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স আমন্ত্রিত ৫৩৪ জন শিল্পী এবং নির্বাহীর মধ্যে তারা স্থান পেয়েছেন।
অস্কারে আমন্ত্রণ পাওয়া ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা হচ্ছেন হোসেইন মোলায়েমি, শিরিন সোহানি এবং সাইদ রুস্তাই, অভিনেতা পেমান মাদি এবং চিত্রগ্রাহক আলী গাজী। বিগত বছরগুলিতে চলচ্চিত্রে অবদানের মাধ্যমে আমন্ত্রিতরা এবারের অস্কারে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন। এই খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা ইসনা।

একাডেমির প্রধান নির্বাহী (সিইও) বিল ক্র্যামার এবং একাডেমির সভাপতি জ্যানেট ইয়াং বলেছেন, ‘আমরা শিল্পী, প্রযুক্তিবিদ এবং পেশাদারদের এই সম্মানিত শ্রেণীকে একাডেমিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আনন্দিত।চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং বৃহত্তর চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এই ব্যতিক্রমী প্রতিভাবান ব্যক্তিরা আমাদের বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্প্রদায়ে অমোচনীয় অবদান রেখেছেন।’’
মার্চের শুরুতে, ‘ইন দ্য শ্যাডো অফ দ্য সাইপ্রেস’-এর জন্য ৯৭তম একাডেমি পুরষ্কারে হোসেইন মোলায়েমি এবং শিরিন সোহানি ২০২৫ সালের সেরা অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্মের জন্য অস্কার জিতেছিলেন। এটি ছিল অস্কারে জয়ী প্রথম ইরানি অ্যানিমেটেড বা লাইভ-অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম।
মোলায়েমি এবং সোহানি একাডেমিতে যোগদানকারী অ্যানিমেশন শাখা এবং শর্ট ফিল্মস শাখার মধ্যে একটি বেছে নিতে পারেন।

এই জুটি তেহরান ইউনিভার্সিটি অব আর্ট থেকে অ্যানিমেশন পরিচালনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মোলায়েমি ২০০৪ সালে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি একজন পরিচালক, চরিত্র ডিজাইনার, স্টোরিবোর্ড শিল্পী, অ্যানিমেটর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে কাজ করেছেন।
সোহানি ২০১২ সালে তার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং একজন পরিচালক, ধারণা শিল্পী, পটভূমি শিল্পী, চিত্রনাট্য লেখক এবং প্রযোজনা ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
৩৫ বছর বয়সী সাইদ রুস্তাই ‘লায়লা’স ব্রাদার্স’, ‘ল অফ তেহরান’, ‘লাইফ অ্যান্ড অ্যা ডে’ এবং ‘ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড’-এর জন্য পরিচিত। সূত্রঃ তেহরান টাইমস