ঢাকা, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে চমক দিলো ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো

ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর জয়জয়কার চলছে। ব্রাজিলের দলগুলোর কাছেই একের পর এক ধরাশায়ী হচ্ছে ইউরোপিয়ান পরাশক্তিগুলো। পরশু রাতে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে চমক উপহার দিয়েছিল বোতাফোগো। আর এক দিনের ব্যবধানে ফ্ল্যামেঙ্গো হারিয়ে দিল সাবেক ইউরোপসেরা চেলসিকে। এ জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয়ও উঠেছে ফ্ল্যামেঙ্গো।

ফিলাডেলফিয়ায় শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ফ্ল্যামেঙ্গো জিতেছে ৩–১ গোলে। এর ফলে ৩৩ বছর পর প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান কোনো দলের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় পেল দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে শেষবার এই কীর্তি গড়েছিল সাও পাওলো। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার বিপক্ষে ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ২–১ গোলে জিতেছিল সাও পাওলো। এর পাশাপাশি ফ্ল্যামেঙ্গোর এই জয়ে ২৫ বছর পর উয়েফার কোনো দলকে নন- ইউরোপিয়ান কোনো দল দুই বা ততোধিক গোলের ব্যবধানে হারানোর স্বাদ পেল। এর আগে সর্বশেষ ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩–১ গোলে হারিয়েছিল ভাস্কো দা গামা।

লিংকন ফিনানশিয়াল ফিল্ডে ৫৪ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির ডিফেন্সিভ ভুল কাজে লাগিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে চেলসিকে এগিয়ে দেন উইঙ্গার পেদ্রো নেতো। আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণের এই ম্যাচে চেলসি লিড ধরে রাখে ম্যাচের ৬১ মিনিট পর্যন্ত। ৬২ মিনিটের মাথায় উইঙ্গার ব্রুনো হেনরিকের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ফ্ল্যামেঙ্গো।

এই গোলের রেশ কাটার ৩ মিনিট পর আবারও গোল করে ফ্ল্যামেঙ্গো। কর্নার থেকে বলটি পান হেনরিখ, হেডে বল বাড়ান দানিলোকে। কোনো ভুল না করে দারুণ এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করে ফ্ল্যামেঙ্গোকে ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই সেন্টারব্যাক।

চেলসির বিপদ আরও বাড়ে ৬৮ মিনিটে নিকোলাস জেকসন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। ১০ জনের চেলসি আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। উল্টো ৮৩ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বসে। এই গোলটি করেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ফরোয়ার্ড ওয়ালাসে ইয়ান।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলেও ঐতিহাসিক এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো। এ জয়ের পর শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ফ্ল্যামেঙ্গোর পয়েন্ট ২ ম্যাচে ৬। সমান ম্যাচে চেলসি ও ইএস তিউনিসের পয়েন্ট ৩। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে চেলসি ও তিউনিস। এই ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই শেষ ষোলোয় ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গী হবে।

ম্যাচ শেষে ফ্ল্যামেঙ্গো কোচ ফিলিপে লুইস বলেছেন, ‘এটা আমার ও ক্লাবের জন্য বিশেষ একটি দিন। আমি খেলাটি নিয়ে খুব খুশি। ম্যাচের শুরু থেকেই আমরা বিশ্বাস করছিলাম যে আমাদের সুযোগ আছে। আমি খুব গর্বিত; কারণ, ওয়েসলির ভুলের পরও দল থেমে যায়নি। আমরা আগের মতোই খেলা চালিয়ে গেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে।’

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ