ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫, ৭:৫৫ অপরাহ্ন

ইরান-ইসরাইল সংঘাতে বাড়ল তেলের দাম, কমল শেয়ারবাজার

ইরান-ইসরাইলের সংঘাত তীব্রতর হওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে বেড়েছে। পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার প্রভাবে মার্কিন শেয়ারবাজারও পতনের দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে, হরমুজ প্রণালী দিয়ে জ্বালানি পরিবহন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় তেলের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, চলমান সংঘর্ষের কারণে তেল উৎপাদনে কোনো বড় ধরনের ক্ষতি এখনো হয়নি।

বুধবার (১৮ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান-ইসরাইল সংঘাত দিন দিন জোরালো হচ্ছে এবং এতে বিশ্বের নানা দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে তেহরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইলের সঙ্গে যৌথ হামলার কথাও ভাবছেন।

ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারির পর অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল হয়েছে ৭৬ ডলার ৪৫ সেন্ট। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েডের দামও ৪.৩ শতাংশ বেড়ে ৭৪ ডলার ৮৪ সেন্টে পৌঁছায়।

ফুজিটোমি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক তোশিতাকা তাজাওয়া বলেন, ‘যদি ইসরাইলের হামলার কারণে ইরানের তেল উৎপাদনে সমস্যা হয়, সেটি উদ্বেগের। তবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম আরও অনেক বেড়ে যাবে।’

অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে মার্কিন শেয়ারবাজারের সূচকগুলো পতনশীল অবস্থায় রয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ০.৮৪ শতাংশ কমে গেছে, আর নাসডাগ কম্পোজিট ০.৯১ শতাংশ কমেছে।

তবে, রয়টার্স জানায়, এখনও পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষের কারণে তেল উৎপাদনে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। ওপেকভুক্ত দেশগুলো অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতা বজায় রেখেছে। ইরান-ইসরাইল উভয়ই একে অপরের জ্বালানি অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালালেও প্রধান রফতানি কেন্দ্রগুলো আঘাতের বাইরে রয়েছে।

বিশ্বের জ্বালানি বাজার উদ্বিগ্ন হরমুজ প্রণালীর পরিস্থিতির কারণে, কারণ এই প্রণালী দিয়েই দৈনিক বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ শতাংশ জ্বালানি পণ্য পরিবহন হয়।

নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

ট্যাগঃ