নতুন মাসে গৃহস্থের ব্যয়ের হিসাব আবারও বদলাতে চলেছে। মে মাসের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়বে কি বাড়বে না, তা আগামীকাল রবিবার জানা যাবে। এ দিন বিকেলে মে মাসের গ্যাসের দাম ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি রবিবার এলপিজির পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে অটোগ্যাসের দামও।
বিইআরসির এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সউদী আরামকোর মে মাসের সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) অনুসারে বাংলাদেশের ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতি মাসে সউদী আরামকোর এই আন্তর্জাতিক মূল্য তালিকা অনুসারেই বাংলাদেশের বাজারে বেসরকারি এলপিজির দাম নির্ধারিত হয়। বিইআরসি জানিয়েছে, রবিবারই তারা নতুন নির্দেশনা দেবে, যাতে গৃহস্থালি খরচ কেমন হবে সে বিষয়ে জনগণ জানতে পারে।
গত কয়েক মাসে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দামে বারবার পরিবর্তন এসেছে। এপ্রিল মাসে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়। এর আগে মার্চে ২৮ টাকা কমিয়ে সেটির দাম করা হয়েছিল ১,৪৫০ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে আবার ১৯ টাকা বাড়িয়ে তা দাঁড়ায় ১,৪৭৮ টাকা। জানুয়ারিতে একাধিকবার পরিবর্তনের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অটোগ্যাসের ক্ষেত্রেও লিটারে পয়সায় পয়সায় ওঠানামা হয়েছে—মার্চে ১ টাকা ৩১ পয়সা বাড়িয়ে দাম দাঁড়ায় ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা, আর এপ্রিল মাসে তা ২ পয়সা কমিয়ে হয় ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা। জানুয়ারিতে একাধিকবার দাম বাড়া-কমার ফলে গড় মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬৭ টাকায়।
আগামীকালের ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে দেশের মানুষকে নতুন করে কতটা ব্যয় সামলাতে হবে। জ্বালানির দাম শুধু ব্যক্তিগত খরচ নয়, দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতেও বড় প্রভাব ফেলে। তাই বিইআরসির ঘোষণা হবে শুধু একটি পরিসংখ্যান নয়—মানুষের জীবনের বাস্তব গল্প। আশা করা যায়, মূল্য নির্ধারণে জনস্বার্থ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।