পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০টি দুর্বল কোম্পানির প্রকৃত আর্থিক চিত্র ও উৎপাদন কার্যক্রম জানতে সরেজমিন পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করতে এর আগে ডিএসই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। বিএসইসি ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিএসইকে অনুমতি দিয়েছে
কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে: অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, কৃষিবিদ সিড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল, রিং সাইন টেক্সটাইল, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারি, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ও ফু-ওয়াং সিরামিক লিমিটেড।
এই কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। কিছু কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন প্রতিপালন করছে না। কিছু কোম্পানির উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, রিং সাইন টেক্সটাইল এবং গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি।
এদিকে, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, কৃষিবিদ সিড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, খান ব্রাদার্স, বিচ হ্যাচারি, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ডিভিডেন্ড দিলেও তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও তথ্য গোপনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
ডিএসই আলোচ্য কোম্পানিগুলোর ২০২৩ সাল থেকে আর্থিক ও উৎপাদনসহ সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে।