আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে করের হার বাড়িয়ে আরো অতিরিক্ত ৫৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এছাড়া সংস্থাটি ভর্তুকি ব্যয় কমিয়ে আনা এবং করছাড় কমিয়ে আনার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছে। আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের যে ঋণ চুক্তি রয়েছে তা বাস্তবায়নে সংস্থাটির বেশকিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে এনবিআর বছরের শুরুতে অপ্রত্যাশিতভাবে কর বৃদ্ধির পর বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তবে আইএমএফ এখন আরো কর বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে।
জানা গেছে, চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে বিভিন্ন শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ শনিবার ঢাকায় আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর একটি প্রতিনিধিদল। এবারের সফরে বাড়তি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর রবিবার থেকেই সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে শুরু হবে টানা বৈঠক। আসন্ন সফরে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের। শেষ দিন ১৭ এপ্রিল বৈঠক করবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় হয় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। একই বছরের ডিসেম্বরে ছাড় করা হয় দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। সর্বশেষ তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। ঋণের অর্থছাড় বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। বিপত্তি দেখা দিয়েছে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে। তবে আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার।