সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে যখন কমিশন ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে, তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রোববার (১৬ মার্চ) কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তিন কমিশনার গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবহিত করেন।

বিএসইসিসি চেয়ারম্যানসহ তিন কমিশনার রোববার সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের কর্মকর্তারা প্রতিবছর দুই থেকে তিন কোটি টাকা খরচ করে কক্সবাজারে গিয়ে ফাইভ স্টার হোটেলে পিকনিক করতেন। এসব টাকা কমিশনের সিএসআর ফান্ড এবং বিভিন্ন কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করছেন, যা একেবারেই অনৈতিক। এবারও তারা একই আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কমিশন তা আমলে নেয়নি। এ কারণে কর্মকর্তারা কমিশনের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন।
এ ছাড়াও, মশিউর সিকিউরিটিজসহ বেশ কয়েকটি বোকারেজ হাউজের অনিয়ম পরিদর্শনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সার্ভিলেন্স টিম পাঠানো হলেও বিএসইসির কর্মকর্তা লিখিতভাবে তাদের ওই হাউজগুলো পরিদর্শনে বাধা দেন। এতে করে ওই হাউজগুলোর বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বিগত দিনের পুঁজিবাজারের অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসি পুঁজিবাজারে অভিজ্ঞ পাঁচজনের সমন্বয়ে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি অনিয়ম চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। কমিশন সেই অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং রিপোর্টের সুপারিশের সূত্রে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নেয়। তারই অংশ হিসেবে কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। কমিশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় কমিশন তাকে চাকুরি থেকে অবসর দিয়েছে।

কর্মকর্তারা এক কোটি বিশ লাখ টাকা হাউজ লোন নিয়ে তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনেন। পাশাপাশি কমিশনের মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে পরিবর্তনেরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বলে জানান চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার।