পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ৬ মার্চ থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে আগারগাঁও ভবনে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে কর্মীরা বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর আগে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় বিএসইসি চেয়ারম্যান ও অন্য কমিশনাররা অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে মুক্ত হয়ে বিএসইসি ভবন ত্যাগ করেন। এ সময় তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত মঙ্গলবার, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এক আদেশে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানান। বিএসইসিতে নতুন কর্তৃপক্ষ যোগ দেওয়ার পর সাইফুর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গভীর হতাশা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ—কমিশনারদের খারাপ আচরণ, বিভিন্ন কোম্পানির তদন্তের আলোকে কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক শোকজ করা এবং নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা। এসব কারণে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “তবে আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়নি। বরং বুধবার সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে ডেকে এনে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করানো হয়েছে।”
বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এখানে (বিএসইসি) যোগ্য ও অভিজ্ঞ অভিভাবক বসানো হোক। যে অভিভাবক নিজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মান দিতে জানে না, তার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।”