সম্প্রতি এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের জামানত হিসেবে বন্ধক রাখা সম্পদ, জমি এবং যন্ত্রপাতি নিলামে তুলছে রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংক লিমিটেড। সংবাদ মাধ্যমে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোম্পানিটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে সম্পদ নিলামের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়েছে।
কোম্পানিটি জানায়, ”আমরা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি বেসিক ব্যাংক থেকে কোন নিলামের বিষয়ে কোন চিঠি পায়নি। এমনকি কোর্ট থেকেও কোন নির্দেশনা আসেনি আমাদের কাছে।এই মুহূর্তে আমরা কোন ক্লু ছাড়া তথ্য উল্লেখ করতে পারছি না। আমরা যদি বেসিক ব্যাংক এবং কোর্ট থেকে কোন তথ্য পায়, তাহলে জানাব।”
জানা গেছে, এর আগে এমারেল্ড অয়েলের সম্পদ কমপক্ষে তিনবার নিলামের জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু দরপত্রে ব্যাংকের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি।
বেসিক ব্যাংক এখন নতুন করে নিলামের চেষ্টা করছে। ঋণ আদায় করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এমারেল্ড ওয়েলের সম্পত্তি জব্দ এবং বিক্রি করার জন্য গত বছরের ৩০ জুলাই মানি লোন কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৩ এর ধারা ৩৩(৫) এর অধীনে অনুমোদন পেয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা একটি নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার সময়সীমা ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিলাম বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বেসিক ব্যাংক ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ পর্যন্ত ৯১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বকেয়া দাবি করেছে। উপযুক্ত দরদাতারা এগিয়ে এলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক যন্ত্রপাতি সহ মোট ৫৪১ শতাংশ জমি নিলামে বিক্রি করা হবে।
বেসিক ব্যাংকের স্পেশাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শেখ জালাল মো. খালিদ বিন হাফিজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আদালতের আদেশে কোম্পানির সম্পদ পূর্বে নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু কাংখিত দাম না পাওয়ায় তা অবিক্রিত রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন নিলাম বিজ্ঞপ্তিটি কোম্পানিটিকে দেওয়া ঋণ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ। ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ঋণ আদালত সম্পত্তি জব্দ এবং বিক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে।
বেসিক ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “যদি সম্পত্তি অবিক্রিত থাকে, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করব। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান নিযুক্ত করেছে। কিন্তু নতুন মালিক বকেয়া ঋণ নিষ্পত্তি করেননি। আদালতের আদেশ অনুসারে ব্যাংকের ঋণের বিপরীতে বন্ধক রাখা সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে।”
জাপানি কৃষি কোম্পানি মিনোরি কোং লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশ ২০২১ সালে তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড ওয়েলের দায়িত্ব গ্রহণ করে। নতুন মালিকের নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এমারেল্ড অয়েল উৎপাদনে ফিরে আসে।