বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১০টি প্রতিষ্ঠানের জন্য “অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর” (এইও) সনদ প্রদান করেছে। এর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানি এইও সনদ অর্জন করেছে।
এই সনদ পাওয়ার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান কাস্টমস প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাবে, যা তাদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে আরও দ্রুত ও দক্ষ করবে।

এই সনদ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাস্টমস হাউস বা শুল্ক স্টেশনে না গিয়ে তাদের নিজস্ব স্থানে পণ্যের শারীরিক পরীক্ষা করতে পারবে। এর ফলে, পণ্য বন্দরে আসার আগে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে শুল্কায়ন সম্পন্ন করা যাবে এবং পণ্য সরাসরি আমদানিকারকের গুদামে চলে যাবে।
এই সনদ বিতরণ উপলক্ষে এনবিআর কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জাভেদ আখতার এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন উপস্থিত ছিলেন।
এইও সনদ পাওয়া পুঁজিবাজারের পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো: স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ স্টিল রিরোলিং মিলস (বিএসআরএম), জিপিএস ইস্পাত, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ।

এছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, ফেয়ার ইলেকট্রনিকস, এসিআই গোদরেজ অ্যাগ্রোভেট, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, টোয়া পার্সোনাল প্রটেকটিভ ডিভাইস বাংলাদেশ এইও সনদ অর্জন করেছে।
এই সনদ পাওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ সুবিধা পাবে, যেমন পণ্যের শারীরিক পরীক্ষা তারা নিজস্ব জায়গায় সম্পন্ন করতে পারবে, পণ্য বন্দরে আসার আগে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে পারবে, এবং কাস্টমস পরিদর্শন অনেক কম হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই সনদ পেয়েছে, তারা শুল্কায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে, যা তাদের কার্যক্রমকে দ্রুত ও কার্যকরী করবে। তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
এছাড়া, বর্তমানে বাংলাদেশ কোনো দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল রিকগনিশন অ্যাগ্রিমেন্ট (এমআরএ) সাইন করেনি, তবে বিভিন্ন দেশের মধ্যে এই এমআরএ চুক্তি রয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশও এই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের এইও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশেও বিশেষ সুবিধা পাবে।