ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ফিরে দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে স্থান করে নিচ্ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির দুর্বল শেয়ার। গত সপ্তাহেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নি। তালিকায় থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৪টিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। এসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে লোকসান গুনছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পরযালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো হচ্ছে- খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ডাইং ও দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
খুলনা প্রিন্টিং
সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ২২.৮১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ২১ টাকা দাঁড়িয়েছে।
কাগজ খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির কারখানাও বন্ধ রয়েছে।
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ
সপ্তাহের ব্যবধানে অলটেক্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৪৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা ৯০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৪ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ গত ২ বছর শেয়ারহোল্ডারদে্র কোন লভ্যাংশ দেয়না। কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে।
ঢাকা ডাইং
সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ১২.৮২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৫ টাকা ৬০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জেড ক্যাটাগরির ঢাকা ডাইং লোকসানে থাকায় গত দুই বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
দুলামিয়া কটন
দীর্ঘদিন অস্তিত্ব সংকটে থাকা দুলামিয়া কটনের শেয়ার দর বেড়েছে ১২.৩০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৭৩ টাকা ২০ পয়সা ; যা গত সপ্তাহে ৮২ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জেড ক্যাটাগরির দুলামিয়া কটনের বর্তমানে ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার পুঞ্জীভূত লোকসান রয়েছে।