দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) রোববার (২৬ জানুয়ারি) থেকে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু করার নতুন সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের জন্য লেনদেনের নতুন সূচি স্থগিত করা হয়েছে।
সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, আমরা লেনদেন সূচি এগিয়ে এনে সকাল দশটার পরিবর্তে সাড়ে ৯টায় শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ডিএসইর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য তা স্থগিত করা হয়েছে। লেনদেন সূচি নিয়ে ডিএসইর সঙ্গে আলোচনা করে আমার আমাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবো।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী লেনদন সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকায় আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যেহেতু সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলক কম হয় সেজন্য আমরা লেনদেন সময় আধ ঘণ্টা বাড়ানোর চিন্তা করেছি।
এদিকে সিএসইর লেনদেন সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউসের সংগঠন ডিবিএ। ডিবিএর পক্ষ থেকে লেনদেন সময় আগের মতো যথানিয়মের ১০টায় শুরুর জন্য সিএসইর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডিবিএ বলছে, কোনো একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত। ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একই সময়ে একই সঙ্গে ট্রেডিং শুরুর ফলে বিনিয়োগকারীরা উভয় এক্সচেঞ্জ যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দরে তাদের চাহিদামাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।
ডিএসই অপেক্ষা সিএসইর শেয়ার ভলিউম পাঁচ শতাংশের মতো। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিউমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিউমের স্বল্পতা এবং সব ব্রোকারের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিংয়ে শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হবে।