ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ট্রেকহোল্ডার সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ট্রেক নম্বর-২৬১) বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন না করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী সিকিউরিটিজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।কমিটিকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউজটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের বেশি রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির এনএভি নির্ধারিত সীমার নিচে থাকায় পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোনালী সিকিউরিটিজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বিএসইসি জানায়, সোনালী সিকিউরিটিজের ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির এনএভি পরিশোধিত মূলধনের ৬৯.২০ শতাংশ। যা সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের নিচে। সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, এ শর্ত পরিপালন না করলে প্রতিষ্ঠানটির ট্রেক সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
জানা গেছে, সোনালী সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে এ ধরনের তদন্তের আদেশ ইতোমধ্যে তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক উম্মে সালমা, সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান এবং সহকারী পরিচালক মো. রায়হান কবির।
বিগত সরকারের সময়ে বেশ কিছু ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘন হলেও তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন কমিশন পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এছাড়া সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বিএসইসি আরও একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা পুঁজিবাজারের বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে।
গঠিত তদন্ত কমিটিকে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনা, ২০২০ সালে কোম্পানির শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে পুনঃতালিকাভুক্ত করার বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।