পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড দীর্ঘ চার বছর রপ্তানি বন্ধ থাকার পর ফের জাহাজ রপ্তানি করতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি আগামী ১৪ মাসে অন্তত ৮টি জাহাজ রপ্তানি করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানায়, আগামী মাসে আরব আমিরাতে “রায়ান” নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। এরপর, জুলাই মাসে আরও দুটি এবং ডিসেম্বর মাসে আরেকটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করবে প্রতিষ্ঠানটি।
২০২৫-২০২৬ সালের মধ্যে আরও পাঁচটি জাহাজ বিভিন্ন সময়ে রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের।
এরপর, আরব আমিরাতে দুটি টাগবোট “খালিদ” ও “ঘায়া” রপ্তানি করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
পরবর্তীতে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি অয়েল ট্যাংকার জাহাজ রপ্তানি করা হবে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ পেয়ে ইতোমধ্যে জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ “এমভি রুপসা” এবং “এমভি সুগন্ধা” হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩১টি জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। একই সময়ে, দেশি ক্রেতাদের জন্য কনটেইনার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, টাগবোটসহ ৫০টি জলযান তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি কমে যায়। ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করলেও, গত চার বছরে বড় ধরনের কোনো জাহাজ রপ্তানি করেনি তারা।